বিজ্ঞান

ব্যাবিলনীয়দের প্লিম্পটন ৩২২ ট্যাবলেটটি পিথাগোরাসীয় ত্রয়ী সংরক্ষণ করে , যা প্রায় ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা হয়েছিল বিজ্ঞান হলো একটি পদ্ধতিগত শৃঙ্খলা, যা পরীক্ষাযোগ্য অনুমানভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে জগত সম্পর্কে জ্ঞান গঠন ও সংগঠিত করে ।সংক্ষেপে বললে বিজ্ঞান হলো বিশেষ জ্ঞান। আধুনিক বিজ্ঞান সাধারণত দুই বা তিনটি প্রধান শাখায় বিভক্ত থাকে: প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নজীববিজ্ঞান), যা ভৌত বিশ্ব অধ্যয়ন করে; এবং সামাজিক বিজ্ঞান (যেমন অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান), যা ব্যক্তি ও সমাজ নিয়ে গবেষণা করে। ফলিত বিজ্ঞান হলো এমন শাখা যা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে, যেমন প্রকৌশল ও চিকিৎসায় প্রয়োগ করে। যদিও যুক্তি, গণিত ও তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানকে অনেক সময় আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞান বলা হয়, এই শাখাগুলি মূলত সূত্র ও নিয়ম দ্বারা পরিচালিত আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। এ কারণে এগুলোকে সাধারণত বিজ্ঞান থেকে আলাদা গণ্য করা হয়, কারণ এই শাখাগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বা অভিজ্ঞতালব্ধ প্রমাণ নয়, বরং যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণ ব্যবহার করে।

বিজ্ঞানের ইতিহাস মানব ইতিহাসের একটি বড় অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এর সূচনালগ্ন ধরা হয় মিশরমেসোপটেমিয়াব্রোঞ্জ যুগে (খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ৩০০০–১২০০)। সেই সময়ে গাণিতিক, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান বিকশিত হয়, যা পরবর্তীকালে গ্রিক প্রাকৃতিক দার্শনিকতাকে প্রভাবিত করে। এরপর ভারতের গৌপ্ত যুগে হিন্দু–আরব সংখ্যা পদ্ধতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়।

পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর বিজ্ঞানচর্চা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে, তবে মধ্যযুগীয় পুনর্জাগরণকালে (যেমন ক্যারোলিঞ্জিয় পুনর্জাগরণ, ওট্টোনিয় পুনর্জাগরণ, এবং দ্বাদশ শতাব্দীর রেনেসাঁ) আবারও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি দেখা যায়। এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে বহু গ্রিক পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত ও সমৃদ্ধ হয়। পুনর্জাগরণ যুগে গ্রিক পণ্ডিতগণ এসব রচনাকে পশ্চিম ইউরোপে ফিরিয়ে আনেন।

১০ম থেকে ১৩শ শতাব্দীর মধ্যে গ্রিক সাহিত্যইসলামী বিজ্ঞানের পুনরুদ্ধার এবং আত্মস্থকরণের ফলে প্রাকৃতিক দার্শনিকতার পুনর্জাগরণ ঘটে। পরে, ১৬শ শতকে শুরু হওয়া বৈজ্ঞানিক বিপ্লব পুরনো গ্রিক ধ্যান-ধারণা থেকে সরে এসে নতুন আবিষ্কার ও মতবাদ গঠনে সহায়ক হয়। এরপর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জ্ঞান আহরণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করে এবং ১৯শ শতকে বিজ্ঞান আরও প্রাতিষ্ঠানিকপেশাদারী রূপ লাভ করে।

আজকের দিনে বৈজ্ঞানিক গবেষণা মূলত কৌতূহল ও সমস্যা সমাধানের আগ্রহ থেকে চালিত হয়। এই গবেষণা অধিকাংশ সময়ই যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ, সরকারি সংস্থা, এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহে সম্পাদিত হয়। গবেষণার ফলাফল বিজ্ঞানভিত্তিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা নৈতিক ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল পণ্যের উন্নয়ন, অস্ত্রনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
প্রদর্শন 1 - 20 ফলাফল এর 25 অনুসন্ধানের জন্য 'Scientific...', জিজ্ঞাসা করার সময়: 0.01সেকেন্ড ফলাফল পরিমার্জন করুন
  1. 1
    অনুযায়ী Scientific...
    প্রকাশিত 2011
    Sirkulasi
  2. 2
    অনুযায়ী Scientific...
    প্রকাশিত 2011
    Sirkulasi
  3. 3
    অনুযায়ী THOMAS SCIENTIFIC
    প্রকাশিত
    TEXT
  4. 4
    অনুযায়ী Scientific American
    প্রকাশিত 1978
    TEXT
  5. 5
    অনুযায়ী Scientific American
    প্রকাশিত 1975
    TEXT
  6. 6
    অনুযায়ী Scientific American
    প্রকাশিত 1975
    TEXT
  7. 7
    অনুযায়ী Institute For Scientific
    প্রকাশিত 1979
    TEXT
  8. 8
    অনুযায়ী Scientific American
    প্রকাশিত 1975
    TEXT
  9. 9
    অনুযায়ী Elsevier scientific publishing
    প্রকাশিত 1981
    TEXT
  10. 10
    অনুযায়ী Fisher Scientific Co.
    প্রকাশিত 1975
  11. 11
    অনুযায়ী Institute for scientific cooperation
    প্রকাশিত 1977
  12. 12
    অনুযায়ী TIM PUda Scientific
    প্রকাশিত 2012
    TEXT
  13. 13
    অনুযায়ী TIM Pudak Scientific
    প্রকাশিত 2012
    TEXT
  14. 14
    অনুযায়ী TIM Pudak Scientific
    প্রকাশিত 2012
    TEXT
  15. 15
  16. 16
    অনুযায়ী INSTITUTE FOR SCIENTIFIC CO-OPERATION
    প্রকাশিত 1986
    TEXT
  17. 17
    অনুযায়ী INSTITUTE FOR SCIENTIFIC COOPERATION, TUBINGEN
    প্রকাশিত 1986
    TEXT
  18. 18
    অনুযায়ী INSTITUTE FOR SCIENTIFIC CO-OPERATION
    প্রকাশিত 1986
    TEXT
  19. 19
  20. 20