বিজ্ঞান

বিজ্ঞানের ইতিহাস মানব ইতিহাসের একটি বড় অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এর সূচনালগ্ন ধরা হয় মিশর ও মেসোপটেমিয়ার ব্রোঞ্জ যুগে (খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ৩০০০–১২০০)। সেই সময়ে গাণিতিক, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান বিকশিত হয়, যা পরবর্তীকালে গ্রিক প্রাকৃতিক দার্শনিকতাকে প্রভাবিত করে। এরপর ভারতের গৌপ্ত যুগে হিন্দু–আরব সংখ্যা পদ্ধতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়।
পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর বিজ্ঞানচর্চা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে, তবে মধ্যযুগীয় পুনর্জাগরণকালে (যেমন ক্যারোলিঞ্জিয় পুনর্জাগরণ, ওট্টোনিয় পুনর্জাগরণ, এবং দ্বাদশ শতাব্দীর রেনেসাঁ) আবারও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি দেখা যায়। এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে বহু গ্রিক পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত ও সমৃদ্ধ হয়। পুনর্জাগরণ যুগে গ্রিক পণ্ডিতগণ এসব রচনাকে পশ্চিম ইউরোপে ফিরিয়ে আনেন।
১০ম থেকে ১৩শ শতাব্দীর মধ্যে গ্রিক সাহিত্য ও ইসলামী বিজ্ঞানের পুনরুদ্ধার এবং আত্মস্থকরণের ফলে প্রাকৃতিক দার্শনিকতার পুনর্জাগরণ ঘটে। পরে, ১৬শ শতকে শুরু হওয়া বৈজ্ঞানিক বিপ্লব পুরনো গ্রিক ধ্যান-ধারণা থেকে সরে এসে নতুন আবিষ্কার ও মতবাদ গঠনে সহায়ক হয়। এরপর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জ্ঞান আহরণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করে এবং ১৯শ শতকে বিজ্ঞান আরও প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাদারী রূপ লাভ করে।
আজকের দিনে বৈজ্ঞানিক গবেষণা মূলত কৌতূহল ও সমস্যা সমাধানের আগ্রহ থেকে চালিত হয়। এই গবেষণা অধিকাংশ সময়ই যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ, সরকারি সংস্থা, এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহে সম্পাদিত হয়। গবেষণার ফলাফল বিজ্ঞানভিত্তিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা নৈতিক ও সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল পণ্যের উন্নয়ন, অস্ত্রনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3
-
4
-
5
-
6
-
7
-
8
-
9
-
10
-
11
-
12
-
13
-
14
-
15
-
16
-
17
-
18
-
19
-
20অনুযায়ী Alvajh_research_of_nahjolbalagheh_scientific_and_reseaarch_quarterly
প্রকাশিত 2015Iranian Corner